বাংলাদেশের
সংবিধানে শিক্ষা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। এরপরও এদেশে নিরক্ষরতার
হার কমেনি। সকল শ্রেণির মানুষকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা প্রায় অসম্ভব।
শিশুদের একটি বৃহৎ অংশ নানা কারণে স্কুলে ভর্তি হতে পারে না। যারা ভর্তি হয় তাদের মধ্যে অনেকেই ঝরে যায়, আর স্কুলে ফিরতে পারে না।
কিন্তু একটি দেশের স্বাক্ষরতার হার সন্তোষজক হারে বাড়াতে হলে প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষার
সুযোগ নিশ্চিত করা ভিষন জরুরী। বাংলাদেশে সরকার এবং সরকারের পাশাপাশি অনেক এনজিও শিক্ষার
হার বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে।
গ্রামাউস
সৃষ্টির পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে অদ্যাবদী সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির
জন্য সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার সহযোগি সংস্থা হিসাবে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন
কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে গ্রামাউস মডেল একাডেমী গ্রামাউস এর নিজস্ব
অর্থায়নে পরিচালিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম যেখানে ২০১০ সাল থেকে দরিদ্র পরিবারের
মেধাবী শিক্ষার্থী এবং গ্রামাউস্ এর উপকারভোগী
দের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায়
এবং অতিতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামাউস এর নিজস্ব উদ্যোগ এবং নিজস্ব অর্থায়নে
শুরু হয়েছে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম গ্রামাউস শিশু কানন। ময়মনসিংহ জেলার ৫ টি
উপজেলায় মোট ৩০০ টি স্কুলের মাধ্যমে শুরু হয়েছে গ্রামাউস শিশু কানন কর্মসূচি। এই কর্মসূচির
উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুদের শিক্ষার হার বৃদ্ধি, শিশুশ্রম থেকে শিশুকে দূরে রাখার, বৃত্তিমূলক
প্রশিক্ষণের দরিদ্র কিশোর ছেলেদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রাথমিক শিক্ষার কাজ এবং সুস্থ
নাগরিক হিসাবে বড় হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।
No comments:
Post a Comment