Friday, May 31, 2019

আর্ন্তজাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য ও নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে গ্রামাউস

মার্চ পালিত হলো আর্ন্তজাতিক নারী দিবস।  ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেন হেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আর্ন্তজাতিক নারী সম্মেলনে জার্মানের নারী নেত্রী ক্লারা জেটেকিন ৮ মার্চকে “আর্ন্তজাতিক নারী দিবস” পালনের প্রস্তাব করেন। তারপর থেকে দিনটি ঘটা করে পালন করা হতো সমাজতন্ত্রী শিবিরে। এরপর ১৯৭৫ সালে সেই প্রস্তাবকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয়। সেই থেকে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই দিনটি বিশেষ গুরুত্বের সাঙ্গে পালন করা হয়। নারীর মর্যাদা ও সম-অধিকারের সুদীর্ঘ সংগ্রাম “আর্ন্তজাতিক নারী দিবস” একটি তাৎপর্যপূর্ন দিন। একটি মাইলফলক, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবসমাজ কতোটা এগোলো সেই বিশ্লেষন করা হয় এই দিনে। আর্ন্তজাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-

“সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো
 নারী পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো”

বাংলাদেশেও প্রতিবছর যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে পালন করা হয় “আর্ন্তজাতিক নারী দিবস”, শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করা হয় তাঁদের, যারা সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় যুগে যুগে সোচ্চার হয়েছেন, নারীকে এগিয়ে দিয়েছেন উন্নয়নের পথে।  নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠার সাফল্যে বাংলাদেশ আজ আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে সমাহৃত হয়েছে।

নারীর ক্ষমতায়নে গ্রামীণ মানবিক উন্নয়ন সংস্থা (গ্রামাউস) এর ভূমিকা ‍:-

জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা এক কালের অন্ত:পুর বাসিনী, গৃহবন্দি নারী একটু একটু করে এগিয়ে আসেন বাঙালী নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার দেখানো আলোর পথে। প্রতিকুল, অসম আর বন্ধুর ছিল নারীদের এগিয়ে আসার এই পথ। আর এই প্রতিকুল, অসম এবং বন্ধুর পথকে মসৃন করে নারীকে তাঁর কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই গ্রামীণ মানবিক উন্নয়ন সংস্থা (গ্রামাউস) প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই অদ্যবধি নিরলস প্ররিশ্রম করে যাচ্ছে।  মেধায়, মননে, চিন্তায়, যোগ্যতায় নারীকে তাঁর অগ্রযাত্রায় স্বাক্ষর রাখতে গ্রামাউস তাঁদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী।  মানুষ হিসাবে নারী মোট জনবলের অর্ধেক হওয়া সত্ত্বেও “মানব সম্পদ ” হিসাবে নারী স্বীকৃতি পায়নি বা মূল্যায়িত হয়নি। অথচ এই নারীদের রয়েছে অসাধারন কর্মদক্ষতা ও অপরিসীম মেধা শক্তি। আমরা জানি “নারী ও পুরুষের” স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ ছাড়া পৃথিবীর কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডই পূর্নতা পায়নি। আর এ জন্য প্রয়োজন নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদেরকে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরন। 


গ্রামাউস স্থানীয় পর্যায়ের একটি বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। শান্তি ও ন্যায্য সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে সুযোগ বঞ্চিত নারী জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতা নিরসন, তাদের ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অন্তর্ভুক্ত করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালের ৮ই জানুয়ারী আত্নপ্রকাশ করে ‘গ্রামাউস’ গণমূখী কার্যক্রম বাস্তবায়নরত একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছিল যা অদ্যবধি পর্যন্ত চলমান আছে। নারীর ক্ষমতায়নে গ্রামাউসের বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ উল্লেখ করা হলোঃ  

০১। নারীদের অধিকার অর্জনে তাদের সংগঠিতকরন ও সচেতনতা সৃষ্টি ‍:-


যেখানেই নারীর প্রতি যে কোন ধরনের বিরুপ অচরন করা হয়েছে সেখানেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গ্রামাউস। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে নারীদেরকে সংগঠিত করে নারীকে নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে ভাবতে শিখিয়েছে। প্রত্যেক নারী নিজের অধিকার অর্জনে পা বাড়াতে পারবে তখনি, যখন নারী নিজের অধিকার সম্পর্কে জানবে ও সচেতন হবে। সেই লক্ষ্যে গ্রামাউস গ্রামীণ ও শহরের অধিকার বঞ্চিত নারী জনগোষ্ঠিদের সংগঠিত করে বিভিন্ন দল বা সমিতি তৈরী করে থাকে। উক্ত সমিতিগুলোতে গ্রামীণ ও শহরের অধিকার বঞ্চিত নারী জনগোষ্ঠিদের সংগঠিত করে বিভিন্ন বিষয় যেমন: বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, তালাক, যৌতুক, নারী নির্যাতন ইত্যাদি সমস্যা সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা ও তা প্রতিরোধ করার মানসিকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে থাকে।

গ্রামাউস কর্তৃক সংগঠিত নারীদের তথ্য

মোট সমিতি মোট সদস্য শতকরা হার
পুরুষ মহিলা পুরুষ মহিলা পুরুষ মহিলা
৪৪৪ টি ১,১৬৯ টি ৫,০০৬ জন ২৩,৪২০ জন ১৮% ৮২%


০২। নারীর আর্থিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ক্ষমতায়ন ঃ-

গ্রামীণ ও শহরের অধিকার বঞ্চিত নারী জনগোষ্ঠিদের সংগঠিত করে গ্রামাউস বিভিন্ন দল বা সমিতি তৈরীর মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ধরনের চাহিদা মাফিক ক্ষুদ্রঋণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে আর্থিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন তথা জাতীয় উন্নয়নে অংশগ্রহনের সুযোগ তৈরী করে থাকে। যাতে করে নারীরা আয়বর্ধক কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পারিবারিক আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবারে ও সমাজে নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে পারে। গ্রামাউস ১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫১,৪১৩ জন নারী সদস্যদের মাঝে জাগরন, অগ্রসর, বুনিয়াদ, সুফলন ও ENRICH-IGA, ENRICH-AC ও ENRICH-LI কার্যক্রমের মাধ্যমে ২,৩১,৪২,৫৯,৫০০/-টাকা ঋণ বিতরণ করেছে এবং বর্তমানে তাদের কাছে ঋণস্থিতি আছে ১৫,৮৬,৬৬,৬৬০/- টাকা। নারী সদস্যরা ঋণের টাকা গ্রহন করে বিভিন্ন আয় বর্ধকমুলক কাজে সম্পৃক্ত হয়ে অধিকাংশ নারী সদস্যই কিছু না কিছু আয় করছে। যার ফলে তার পরিবার দিনে দিনে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগুচ্ছে। 

০৩। নারীদের ভোট প্রদানে উৎসাহিতকরন ঃ-

আমরা জানি “নারী ও পুরুষের” স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ ছাড়া পৃথিবীর কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডই পূর্নতা পায়নি। আর এ জন্য একটা দেশের সরকার গঠন এর মত গুরুত্বপূর্ন কাজে নারীর নিজস্ব সিদ্ধান্তে, পছন্দমত প্রার্থী বাছাই করে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রামাউস নারী জনগোষ্ঠিদের নিজস্ব অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা ও নিজস্ব পছন্দমত ভোটাধিকার প্রদানে উৎসাহিত করে থাকে। 

০৪। মহিলা জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে উৎসাহিতকরন ঃ-

গ্রামাউস প্রতিনিয়ত সংগঠিত নারী জনগোষ্ঠিদের সংগঠিতকরে তাদের নিজস্ব অধিকার আদায় ও ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন করে থাকে। কারন নারীও মানুষ এবং পুরুষের মত তাদেরও বিশাল ক্ষমতা, দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে। তাই যে কোন উন্নয়ন প্রকল্পে তাদের স্বাচ্ছন্দে প্রবেশ করার পরিবেশ এবং বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা নিাশ্চত করা সম্পর্কে সচেতন করে থাকে। সেই লক্ষ্যে তারা  নিজস্ব পছন্দমত ও নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে এমন একজন মহিলা জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে যিনি কিনা সার্বক্ষনিক সুবিধা বঞ্চিত নারীদের যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারে। শুধু বোটাধিকার প্রদানে উৎসাহিত করনই নয়, বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমাদের সংগঠিত নারীদের মধ্যে এ পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনে ১৩৪জন নারী সদস্য অংশগ্রহন করেছে এবং ২৭ জন নির্বাচিত হয়ে মানুষের জন্য কাজ করছে।  

০৫। মেয়ে শিশু শিক্ষা নিশ্চিতকরনে শিক্ষার প্রসার ঃ-

সম্রাট নেপোলিয়ানের সেই বিখ্যাত উক্তি “তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি দেব” এই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গ্রামাউস মেয়ে শিশুদের শিক্ষার প্রতি সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।  গ্রামাউস বিশ্বাস করে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম অংশ হল শিক্ষা। দরিদ্র ভূমিহীন, ক্ষুদ্রকৃষক, মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েরা যেন সেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য গ্রামাউস নিজম্ব অর্থায়নে ‘গ্রামাউস মডেল একাডেমি’, ‘গ্রামাউস শিশু কানন কর্মসূচী’, পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় ‘সমৃদ্ধি শিক্ষা কর্মসূচী’ এবং ব্র্যাকের সহযোগিতায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে মেয়ে শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিকরনে কাজ করে থাকে। পাশাপাশি মেয়ে শিশুরা যেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তার জন্য গ্রামাউস নিজস্ব অর্থায়নে “শিক্ষাবৃত্তি” কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য ঃ

শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা হার
ছাত্র ছাত্রী ছাত্র ছাত্রী
২০ জন ৮ জন ২০% ৮%

০৬। নারীদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবায় গ্রামাউসের ভূমিকা ঃ-

স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। গ্রামাউস সংগঠিত নারী জনগোষ্ঠিদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় দাতা সংস্থার সগযোগিতায় ও নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে যেমন: এইচআইভ প্রতিরোধে সচেতন করা, গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও পুষ্টি নিশ্চিত করা, একজন সুস্থ মা কিভাবে একটি সুস্থ স্বাভাবিক শিশু জন্ম দিতে পারে, জন্ম পরবর্তী শিশুর যত্ন ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে গ্রামাউসে কর্মরত প্রতিনিধিরা সার্বক্ষনিক নারী জনগোষ্ঠিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনা ও উঠান বৈঠক এর মাধ্যমে সচেতন করে থাকে। তাছাড়া ‘গ্রামাউস’ পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় পরিচালিত ‘সমৃদ্ধি কর্মসূচীতে’ স্যাটেলাইট ক্লিনিক ও স্ট্যাটিক ক্লিনিক এর মাধ্যমে সংগঠিত নারী জনগোষ্ঠিদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে।


নারীদের জন্য প্রদানকৃত স্বাস্থ্য সেবার চিত্র নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ 

কার্যক্রমের নাম উপকারভোগীর সংখ্যা শতকরা হার
পুরুষ মহিলা পুরুষ মহিলা
স্ট্যাটিক ক্লিনিক ৪,০০৫ জন ১৬,০১৯ জন ২০% ৮০%
স্যাটেলাইট ক্লিনিক ২,৭৩৭ জন ১০,৯৪৫ জন
স্বাস্থ্য ক্যাম্প ৬৫৪ জন ২,৬১৩ জন
ছানী অপারেশন ১৪৭ জন ৫৮৮ জন

০৭। নারীদের কর্মসংস্থানে গ্রামাউসের ভূমিকা ঃ-

প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল ছাড়া সঠিক সময়ে যেমন কোন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় তেমনি গ্রামাউস বিশ্বাস করে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহন ছাড়া কোন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই গ্রামাউস কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান হারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে। এমনকি গ্রামাউস সকল ধরনের গুরুত্বপূর্ন কমিটিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও অংশগ্রহন নিশ্চিত করে থাকে। বর্তমানে গ্রামাউসে মোট ৬৭৩ জন ষ্টাফ রয়েছে যার মধ্যে ১৮৯ জন পুরুষ ষ্টাফ ও ৪৮৪ জন মহিলা ষ্টাফ। যারা নিজস্ব যোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন পদে বহাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।

“গ্রামাউস” প্রতিনিয়ত বিশ্বাস করে নারীর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক তাই সকল সীমাবদ্ধতাসমূহের উত্তরণ ঘটিয়ে নারীরা একদিন তাদের সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছাতে পারবে। সেই লক্ষ্যে গ্রামাউস প্রতিনিয়ত অত্যন্ত সচেতনতার সাথে পর্যালোচনা করে প্রতিটি কর্মকান্ডে অর্থাৎ আতœ-কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক ব্যবস্থাপনা, সুষ্ঠু ভোটাধিকার প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রমে নারী জনগোষ্ঠিদের সংগঠিত করে তাদের মধ্যে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমে সক্রিয় ভাবে ভারসাম্য মূলক নারী ও পুরুষের অংশগ্রহন নিশ্চিত হচ্ছে কিনা তা যাচাই করে গ্রামাউস তার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

No comments:

Post a Comment